আজ শুক্রবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোনারগাঁয়ে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে যুবলীগের হামলা, ভাংচুর, আহত ১০

 

সোনারগাঁ প্রতিনিধি: এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় ছাত্রলীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালিয়েছে স্থানীয় যুবলীগ কমীরা। এ সময় তাদের হামলায় ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় কাঁচপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কার্যালয় নির্মাণ করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। সম্প্রতি কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহাবুব পারভেজের সঙ্গে কাঁচপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি নাহিদ মিয়ার ব্যবসায়িক বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার রাতে দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডতা হয়। এর জের ধরে মাহাবুব পারভেজ, উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সম্পাদক ফারুক ওমর, যুবলীগ নেতা সুমন মিয়া, মোখলেছুর রহমান, রাসেদ মিয়া, উজ্জল হোসেন, সুমন মিয়া, বাবুল হোসেনসহ অর্ধশতাধিক লোক একত্রিত হয়ে কাঁচপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৫নং ওয়ার্ডের অফিস কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ব্যাপক ভাংচুর চালায়।

এ সময় কার্যালয়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ.কে.এম. শামীম ওসমানের ছবি ভাংচুর করা হয়। তাদের হামলায় ছাত্রলীগের ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি নাহিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হৃদয় হোসেন, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি শামীম মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলয় হোসেন, কাঁচপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা হাসান মিয়া, জনি হোসেন, রাব্বি মিয়া, রিপন হোসেন, মেহেদী হাসান সহ কমপক্ষে ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের শত শত নেতা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সমর্থ হয়।

আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাসেদ ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ বলেন, স্থানীয় যুবলীগের কতিপয় নেতারা যে ভাবে হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে থাকা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদ সদস্য এ.কে.এম. শামীম ওসমানের ছবি ও অফিস কার্যালয়ে ভাংচুর চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের আহত করেছে এতে যে কোন সময়ের বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। অভিলম্বে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী জানান তারা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহাবুব পারভেজ ও ফারুক ওমর বলেন, ছাত্রলীগের অফিস কার্যালয় ও প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এ.কে.এম. শামীম ওসমানের ছবি ভাংচুর ও হামলা সঙ্গে জড়িত নই।সোনারগাঁ থানার ওসি মোর্শেদ আলম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ